শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৩ অপরাহ্ন
পারভেজ,বরিশাল প্রতিনিধিঃ বরিশালে গ্রামীনফোন কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়াতে চরম দূর্ভোগে নগরীর গ্রাহকরা। গ্রাহক সেবায় হয়রানির ও দূর্ভোগের শিকার হয়ে বিটিআরসিতে নালিশ।
কোভিড-১৯ মহামারির এই সময়ে এক গ্রাহকের সীম আরেক গ্রাহকের কাছে রেজিস্ট্রেশন করে বিক্রি করায় ক্ষুব্ধ হয়ে গ্রামীনফোনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন কামরুল আহসান নামে জনৈক কর্পোরেট গ্রামীনফোন গ্রাহক।
এদিকে সারাদেশব্যাপী ১৪টি গ্রামীনফোন সেন্টার করোনাকালীন সময়ে গ্রামীনফোন কর্তৃক বন্ধ করে দেয়ার ফলে গ্রাহকসেবা পেতে ব্যাপক বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মত বরিশালের গ্রাহকগনও। ইতিমধ্যে হয়রানীর শিকার হয়ে প্রচুর গ্রাহক এই মর্মে বিটিআরসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অনেকেই।
বরিশালে সদর রোডের নিবাসী লিমন আহসান অভিযোগ করেন, জাতীয় দুর্ভোগের এই সময়ে তাঁর একটি সংযোগ অকার্যকর দেখে গ্রামীনফোনের বরিশালে গ্রামীনফোন সেন্টারে গিয়ে সেন্টার বন্ধ দেখতে পান, পরবর্তীতে হটলাইনে ফোন দিলে তাঁকে ঢাকার গুলশান সেন্টারে যেতে বলা হয়, অবশেষে নানা ভোগান্তি পার হয়ে তিনি ঢাকা গিয়ে সার্ভিসটি পেতে সক্ষম হন।কিন্তু সবার পক্ষে তো আর ঢাকাতে গিয়ে সেবা নেয়া সম্ভব নয়।
বরিশালে ভোলা থেকে আসা মো: মোহন খান একই রকম ভোগান্তির শিকার হয়ে অভিযোগ করেন, তার ব্যবহার করা সীমটি হঠাৎ সীমটি নষ্ট হওয়ার ফলে তিনি গ্রামীনফোনের বরিশাল সেন্টারে গিয়ে অফিস বন্ধ পান এবং তাঁকে এই সার্ভিসটি পেতে ঢাকা যেতে বলা হয় কল সেন্টার থেকে।
এভাবে প্রতিনিয়ত বরিশালে গ্রামীনফোন গ্রাহকরা ভোগান্তি আর দূর্ভোগে দিন পার করছে।কারও সিম থেকে অতিরিক্ত টাকা কাটছে কিংবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন এভাবেই নানা সমস্যায় ভুগছে নগরবাসী।
উল্লেখ্য, দেশে মহামারির প্রাদুর্ভাব ঘটার সাথে সাথেই গ্রামীনফোন তার সকল কর্মীকে ঘরে বসে অফিস করার নির্দেশ দেয়ার পরপরই দেশব্যাপী ১৪টি স্থায়ী গ্রাহকসেবা কেন্দ্র বন্ধ ঘোষনা করে এবং নেটওয়ার্ক ও টাওয়ার পরিচালনার কাজে নিয়োজিত স্থায়ী কর্মীদের কাজ থেকে বিরত রেখে অস্থায়ী ভেন্ডর কর্মীদের হাতে তুলে দেয়। এর মাধ্যমে গ্রামীনফোনের প্রায় দুইশত স্থায়ী কর্মীকে কর্মচ্যুত করা হয় এবং হুমকির মুখে ফেলে দেয়া হয় গ্রাহকের তথ্য এবং জাতীয় নিরাপত্তা। এ বিষয়ে গত মাসে গ্রামীনফোন এম্প্লয়ীজ ইউনিয়ন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানায় এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি পাঠিয়ে এর প্রতিকার চায়।
এ সকল বিষয়ে প্রাথমিক অভিযোগসমূহ গ্রামীনফোন কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করলেও দিন দিন বেড়ে চলছে গ্রাহকের অসন্তুষ্টি এবং নেটওয়ার্কের দুর্ভোগ। এখন দেখার অপেক্ষা সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের লিগ্যাল নোটিশের প্রতিক্রিয়ায় গ্রামীনফোন কি জবাব দেয় এবং গ্রাহকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বিটিআরসি ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয় কি ব্যাবস্থা গ্রহন করে।